বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের সময় বাচানোর সুবিধার্থে পারতপক্ষে গনপরিবহন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন আর এই ক্ষেত্রে প্রায়শই দেখা যায় যে ফুয়েলচালিত মোটরবাইক আর এখন হাল জামানায় এসে ই বাইকের প্রতি বিশেষ চাহিদা থাকতে দেখা যায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করা প্রায় সকলেরই।
শুধুমাত্র কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা নির্দিষ্ট দুরুত্ব অতিক্রমের জন্যে কেমন ধরনের ই বাইক আপনার জন্যে প্রযোজ্য আর কেনই বা প্রযোজ্য সেই বিষয়ে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন।
যে কোন বাইকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল করুনঃ
• বাজেটঃ ঠিক কি পরিমান টাকা আপনি ই বাইকের জন্য খরচ করতে চাইছেন?
• দুরুত্বঃ প্রতিদিন গড়ে কতটুকু দুরুত্বের প্রয়োজনে আপনি বাইকটা ব্যবহার করবেন?
• পথের অবস্থাঃ আপনি যে পথে ব্যবহার করবেন সেটা সেটা স্বাভাবিক ফ্ল্যাট রাস্তা, পাহাড়ি রাস্তা নাকি উভয়ের সংমিশ্রিত পথ?
• ব্যাটারীর মানঃ আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ই বাইকের ব্যাটারী ঠিক কত দিন পর্যন্ত ঠিকঠাক পারফরমেন্স চান?
শিক্ষার্থীদের জন্যে ই বাইক পছন্দের কিছু সাধারন টিপসঃ
ডিজাইনঃ এমন একটা ই বাইক যেটা আরাম দিবে এবং সহজে কন্ট্রোল করা যাবে। ফ্রেম সাইজ, হ্যান্ডেলবারের হাইট এবং সীট এডজাস্ট করা যাবে কি না খেয়াল করতে হবে।
চলার গতিঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ ই বাইক সর্বোচ্চ ২৫ – ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলতে পারে যা একজন শিক্ষার্থীর জন্যে যথেষ্ট, যদি এর থেকে বেশি গতির প্রয়োজন হয় তাহলে আরও শক্তিশালী মোটরের বাইক দেখে নিতে হবে।
ব্যাটারীর সক্ষমতাঃ ই বাইকের ব্যাটারী আপনার প্রতিদিনের যাতায়াতের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম কি না খেয়াল করুন। ৩০ – ৪০ কিলোমিটার দুরুত্ব অতিক্রমের সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ই বাইক একজন শিক্ষার্থীর জন্যে যথেষ্ট।
বিল্ড কোয়ালিটিঃ শক্তপোক্তভাবে তৈরিকৃত ই বাইক বেছে নেওয়ার মানসিকতা রাখুন।
আপনার পছন্দ আলাদা হতেই পারে, এরপরেও যেহেতু ই বাইক বাংলাদেশে এখনও ফুয়েল চালিত বাইকের মত সেভাবে প্রচলিত হয়নি তাই আমাদের ডাটাবেজ অনুযায়ী কয়েকটি জনপ্রিয় ই বাইকের ব্রান্ডের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
• Green Tiger
• Akij
• Bir
• Exploit
• Takyon
• Yadea
ই বাইক ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সাধারন টিপসঃ
টেস্ট রাইডঃ ই বাইক ক্রয়ের পুর্বে অবশ্যই বাইকটি দেখে নিবেন যে বাইকটি আপনার প্রত্যাশিত রাইডিং এবং কম্ফোর্ট নিশিচিত করছে কি না।
ওয়ারেন্টিঃ গ্যারেন্টি বা ওয়ারেন্টি সম্পর্কিত সকল শর্তাবলি দেখে ডকুমেন্ট বুঝে নিবেন।
বিক্রয় পরবর্তী সেবাঃ নিশিত করুন যে ই বাইকটি কেনার পরে আপনার বাড়ির কাছেই আপনি সার্ভিস পাবেন।
সেফটি গিয়ারসঃ ই বাইক নেওয়ার সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ারগুলোও নিয়ে নিবেন, আইন মানার জন্য না, নিজের সুরক্ষার জন্যে।