
ভারতীয় স্টার্টআপ GT-Force তাদের তিনটি ইলেকট্রিক টু-হুইলারের মডেল সর্বসমক্ষে নিয়ে এল। গ্রেটার নয়ডা’র India Expo Centre-এ 2021 EV India Expo প্রদর্শনীতে মোট তিনটি টু-হুইলারের নমুনা মডেল সামনে নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। যার মধ্যে একটি উচ্চ ও একটি স্বল্প গতির ইলেকট্রিক স্কুটার এবং অপরটি একটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। GT Drive ও GT Drive Pro নামক বৈদ্যুতিক স্কুটার দুটিতে রয়েছে নজরকাড়া ডিজাইন। অন্যদিকে মোটরসাইকেলটির নাম জানায়নি GT-Force।
GT Drive হল একটি উচ্চগতির বিদ্যুৎ চালিত স্কুটার, যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬০ কিমি। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এর রেঞ্জ ১৫০ কিমি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক যুক্ত এই স্কুটারটিতে রয়েছে তিনটি ড্রাইভ মোড – ইকোনমি, স্ট্যান্ডার্ড এবং টার্বো। এছাড়াও চালক যাতে অবিরাম গতিবেগ বজায় রাখতে পারে, সেজন্য এতে দেওয়া হয়েছে ক্রুজ কন্ট্রোল সিস্টেম।
অন্যদিকে GT Drive Pro হল স্বল্প গতির ইলেকট্রিক স্কুটার। একবার চার্জে এটি ৭৫ কিমি পথ পাড়ি দেবে। এছাড়াও এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিমি। এটি চালাতে লাগবে না কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স। সাধারণত কাছেপিঠের দূরত্বে যাতায়াতের জন্য এই ই-স্কুটারটি আনতে চলেছে কোম্পানীটি। এটি লিড অ্যাসিড এবং লিথিয়াম-আয়ন উভয় বিকল্পের ব্যাটারির ভার্সনে মিলবে।
এ দুটি ছাড়া জিটি-ফোর্স (GT-Force) অপর একটি মোটরসাইকেলের নমুনা মডেল দেখিয়েছে। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এটি লঞ্চ করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিজেদের প্রোডাক্টের সম্পর্কে জিটি-ফোর্স-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রাজেশ সইত্য (Rajesh Saitya) বলেন, “আমরা আমাদের প্রোডাক্ট লাইনআপ এমনভাবে বিস্তৃত করছি যাতে, দেশের মানুষ যাত্রাপথের চ্যালেঞ্জ একে একে পূর্ণ করতে পারে। একবার ইলেকট্রিক ভেহিকেল হাতের নাগালে চলে এলে, মানুষ এগুলিই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখবেন।”
ইভি ব্র্যান্ডটি ভারতের ৮০টি শহরে নিজেদের ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। এমনকি চলতি অর্থবছরেই নিজেদের ১৫০টি ডিস্ট্রিবিউটর খোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কোম্পানীটি। এ প্রসঙ্গে সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা “মুকেশ তানেজা” (Mukesh Taneja) বলেছেন, “আমরা দেশের যে কোনো প্রান্তে আমাদের প্রোডাক্ট সরবরাহ করার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।”
আমরা আশা করতে পারি যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই ই-বাইক চালু হলে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে আর ভারতের বাজারে পুর্ন উদ্যমে GT-Force বাজারজাতকরন শুরু হলে আমরা দামের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা পাবো।