
আমার Horent 2.0 বাইকটি আমি প্রায় ১৪ মাসে ১২,০০০ কিমি রাইড করেছি। আমার মনেহই একটা বাইক কে জানা বা বোঝার জন্য এ সময় টা যথেষ্ট। এ বাইকের আগে আমি ব্যবহার করতাম Suzuki Gixxer MonoTone. বাইক পরিবর্তন করবো বলে যখন সিদ্ধান্ত নিলাম তখন দেখালাম, বাংলাদেশের বাজারে হাইয়ার সিসি বাইকের একটা হাইপ চলছে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন সিসি র বাইক রয়েছে তাই আমি আমার সাথে মানানসই এবং আমার বাজেটের মধ্যে সব থেকে ভালো বাইকটার খোঁজ শুরু করলাম। ব্র্যান্ড ভ্যালু, লুক, প্রাইস এবং ফিচারসের দিক থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে Horent 2.0 এর কম্পিটেটর মার্কেটে আর নেই। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমি এই বাইকটি কিনি ।
আমি আগের বলেছি, এই ১৪ মাসে আমি প্রাই ১২,০০০কিমি রাইড করেছি। এই ১২,০০০ কিমি রাইড করার পরে আমার দেখা এক্সে বাইকের ভালো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদেস্র কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ভালো দিক সমূহের মধ্যে আমি প্রথমেই বলতে চাইঃ
এ বাইকের লুক এক কথাই অসাধারন, যথেষ্ট মাস্কুলার এবং আকার্ষনীয়।
বাইকের ইঞ্জিন এর পাওয়ার ওভার টেকিং এর সময় খুব ভালোভাবে বোঝা যায়।
বাইকের USD সাসপেন্সন এর ফলে অনেক ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়।
উল্লেখ করার মতো একটা দিক হচ্ছে এ বাইকের মাইলেজ। আমি এ বাইক থেকে শহরে ৪৫ এবং হাইওয়েতে ৪৮ মাইলেজ পাই।
এ বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ অন্যান্য বাইকের তুলনায় কিমি.।
কিছুদিক যা ইম্প্রুভ করা দরকার বলে আমি মনে করিঃ
প্রথমেই আমি বলব, এ বাইকের হেডলাইটের আলো অনেক কম যার ফলে রাতে রাইড করতে অনেক বেশি প্রব্লেম হয়।
এ বাইকের রেয়ার সাসপেনশন আমার কাছে আরামদায়ক মলে হয়নি।
ব্রেকিং এ আমার মনে হই কিছু টাকা বেশি নিয়ে হলেও ডুয়াল চ্যানেল ABS দেয়া দরকার।
বিল্ড কোয়ালিটি আর একটু ইম্প্রুভ করা দরকার বলে আমি মনে করি।
আমি আমার বাইক নিয়ে একদিনে প্রায় ২০০ কিমি রাইড করেছি এবং এ যাত্রায় আমার সর্বোচ্চ গতি ছিলো ১১৯ এবং এ গতিতে আমার বাইক যথেষ্ট স্মূধ এবং স্ট্যাবল ছিলো।
পরিশেষে আমি বলতে চাই, যারা লুক, ফিচারস নিয়ে কপ্রোমাইজ করতে চান না আবার বাজেটের মধ্যে হাইয়ার সিসির ফিল নিতে চান আবার সাথে মাইলেজ ও চান তাদের জন্য Horent 2.0 হতে পারে বেষ্ট অপশন।