গ্রিন টাইগার জিটি ফিনিক্স ইলেক্ট্রিক স্কুটার ফিচার রিভিউ।
পৃথিবী জুড়ে ইলেক্ট্রিক বাইকের আবর্তন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা সকলেই গ্রিন হাউস ইফেক্ট এর সাথে কম বেশি পরিচিত। কার্বোনডাই অক্সাইডের নির্গমন এই বিপর্যয়ের পিছে বড়ো ভুমিকা পালন করে থাকে। গবেষনা থেকে প্রমানিত, জানালি চলিত ইঞ্জিন থেকে প্রচুর পরিমানে কার্বোনডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। এছাড়াও, এই তেলজ সম্পদ এর পরিমান নির্দিষ্ট এবং দিন দিন এই পরিমান কমে আসছে। আসন্ন সঙ্কট মোকাবেলা করতে মটরসাইকেল প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রিক বাইক প্রস্তুত করা শুরু করেছে সাথে সাথে তারা ইবাইকের দাম গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে নির্ধারন করে তাদের অর্জনযোগ্য করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণও ইলেক্ট্রিক বাইকের সাথে পরিচিতি লাভ করছে দিনে দিনে।
গ্রিন টাইগার হলো বাংলাদেশের সবচেয় বড়ো ইলেক্ট্রিক বাইক প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই তারা বেশ কিছু সিরিজের স্কুটার বাংলাদেশের মার্কেটে লঞ্চ করেছে গ্রাহকদের মতামত ও রুচির উপর ভিত্তি করে। গ্রিন টাইগার ফিনিক্স তাদের ইবাইকের মধ্যে অন্যতম একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার। এই ইবাইকটিতে রয়েছে আধুনিক টেকনলজি। আসুন গ্রিন টাইগার ফিনিক্সে যে সব ফিচারস আমরা পাচ্ছি সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
গ্রিনটাইগার ফিনিক্সের ডিজাইনের পিছ গ্রিনটাইগার অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে যার ফলাফল আমরা এর এক্সটেরিওর ডিজাইনে দেখতে পাই। এই ধরনের ডিজাইন কাস্টমারদের নজর কাড়তে বাধ্য। অনন্য রঙের ধারনা নিক্ষুত ডিইজাইন এবং বডি কিটের উপর আধুনিক গ্রাফিক্স ডিজাইন বেশ নজড় কাড়ার মতো। হ্যন্ডেবারের ঠিক নিচেই দুই সাইডে দুটি করে এল ই ডি লাইট সংযুক্ত করা হয়েছে। আকর্ষন বাড়ানোর জন্যে টার্ন লাইট হ্যান্ডেলবারের সাথে যুক্ত করা হয়েছে যা স্কুটারের সামনের অংশকে অনেক বেশি আকর্ষনীয় করে তুলে।
পারফরমেন্সঃ গ্রিনটাইগার ফিনিক্সে যুক্ত করা হয়েছে ৪৮ ভোল্ট ১ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম ব্যাটারি। ব্যাটারির সাথে সাথেও একটি ১৫০০ ওয়াটের ব্রাশলেস মটর বিদ্যমান। এই শক্তিশালী মটর ৫০-৫৫ কিলোমটার প্রতি ঘন্টায় স্পীড তুলতে সক্ষম। এছাড়াও একবার ফুল ব্যটারি চার্জ এ কমপক্ষে ৫০-৫৫ কিলোমটার যাতায়াত সম্ভব এই বাইকে।
চার্জিংঃ
গ্রিনটাইগার ফিনিক্স ই বাইকটিতে রয়েছে ডেডিকেটেড হোম চার্জিং এর সুবিধা। এর ব্যটারি চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৪-৫ ঘন্টা। নিজের বাড়িতেই চার্জে দেওয়ার সুযোগটা অনেক বেশি আরামদায়ক একটি পদ্ধতি।
ব্রেকিংঃ
ইলেক্ট্রিক বাইকের একটি ভালো বৈশিষ্ট হলো যেকোন পরিস্থিতিতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বাইকটির বডি ওয়েট হাল্কা হওয়ার দরুন এটিকে গড়িয়ে চার্জিং পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়। রাইডারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গ্রিনটাইগার কোম্পানি বাইকের সামনে ডাবল ডিস্ক ব্রেক ইউজ করেছে ও পিছে যুক্ত করেছে ড্রাম ব্রেক।
প্রাকৃতিক পরিবেশের অবস্থা তার আগের রুপে ফিরে আনার জন্য ই বাইক সেক্টরের বাইক গুলোই একমাত্র চাবিকাঠি। যদিও পেট্রল চলিত ইঞ্জিনের চাহিদা মার্কেটে বেশ ভালো অবস্থান দখল করে রেখেছে তবুও এটি বলার কোন প্রয়োজন নেই যে ইলেক্ট্রিক সেগমেন্ট এর বাইক গুলো খুব শীঘ্রয় মার্কেট দখল করতে চলেছে।